নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদনে তথ্যের গড়মিল রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বুধবার (১৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘গুম-খুনের কথা যেগুলো বলছেন, এগুলো প্রায়ই অনুসন্ধান করে আমরা দেখেছি; তারা অনেকেই হয়তো আত্মগোপন করে গুম বলে চালিয়ে দিয়েছে। হয়তো ব্যবসায়ে লস করে নিজেই কোথাও চলে গেছেন। এই কিছুদিন আগেও আপনারা দেখেছেন, এক লোক আড়াই বছর পর বলেছে ইচ্ছা করেই গুম হয়েছিলো পরিবারের অশান্তির কারণে।
আমরা নিরাপত্তা বাহিনী অনেককেই খুঁজে বের করে দিয়েছি। আমি এখনো জোর গলায় বলতে পারি, যে রিপোর্টটা বের হয়েছে তাতে তথ্যের গরমিল রয়েছে।’ ‘জেলখানায় আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর যথেষ্ট ইন্সপেক্টর লেভেল থেকে ডিআইজি পর্যন্ত কর্মকর্তা রয়েছে। এটাই শুধু নয়, র্যাবেরও অনেক সদস্য রয়েছেন।
এর অর্থ কেউই বিচারের ঊর্ধ্বে নয় আমাদের দেশে। এখানে যেই অন্যায় করে তাকেই বিচারের মুখোমুখি হতে হয়। আমি মনে করি, তারা যেটা করেছে; তাদের তথ্য বিভ্রাট হয়েছে বলে আমি মনে করি’- বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘প্রথম কথা হলো এই অভিযোগটা বোধহয় ২০২১ এর, ২০২২ এর নয়। ২০২১- এ যে পরিমাণ গুম-খুনের কথা এখানে বলা হচ্ছে আমাদের রেকর্ডে কিন্তু সে পরিমাণ নেই। আমরা সবসময়ই আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা যদি কেউ বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়, নিরাপত্তাবাহিনী আত্মরক্ষার ভয়ে যদি গুলিও করেন; তাহলে প্রত্যেক ঘটনায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইনকোয়ারি করেন।
এতে যদি ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হয় তাহলেই সেই বিষয়টি আমরা ক্লোজ করে দিই। আর যদি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনে করেন এখানে ঘটনাটি অন্যায় বা অসতর্কতায় হয়েছে- এটা আমরা বিচার বিভাগে পাঠিয়ে দিই।’ ‘নিরাপত্তা বাহিনী রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ব্যবহার হচ্ছে কি-না প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘এটা হতো তখন যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো।
পেছনের কথা যদি তারা বলে, এটা আমার জানা নেই। যখন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন তখন থেকে কোনো ধরনের অন্যায় অত্যাচার নিরাপত্তা বাহিনীর করলে সে কিন্তু আইনের মুখোমুখি হয়। আমি সেটাই বার বার স্পষ্ট করে বলছি।’ পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বলছি, যেহেতু কোভিড এখনো শতভাগ যায়নি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী কিন্তু এখনো বাসা থেকেই সব কাজ করেন। কাজেই সবাইকে বলবো কোভিডের বিষয়টি মাথায় রেখেই তারা যেন সবাই এটাকে সীমিত আকারে করেন। দুপুর ২টা পর্যন্ত আয়োজনের বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মনে করেছে বলে তারা তাদের সুপারিশ করেছে।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের বিটিআরসি ফেসবুকের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন। আমরা কালকেও তাদের সাথে এ নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি। তারা বলেছেন, ফেসবুকের সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধিরা আমাদের এখান থেকে এসে ঘুরে গিয়েছেন। একটা সুপারিশ যেটা আমরা করেছি তারা সেটার বাস্তবায়ন করবেন বলে আমাদের বলেছেন। এটুকু আমি বলতে পারি ফেসবুক সম্বন্ধে। আপনাদের মাধ্যমে আমি বলতে চাই, যারা ফেসবুকে এসব প্রচার করেন তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু আমরা ব্যবস্থা নিই।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।